ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়িয়ায় নাশকতার মামলায় যুবলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার মঠবাড়িয়ায় ৩ সমন্বয়কের বিরুদ্ধে  নগদ টাকা সহ ১২ টি মোবাইল চুরি অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ফারিয়ার কমিটি গঠন- সভাপতি মাসুদ, সম্পাদক সজিব মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা পিরোজপুরে ১০৫ পিস ফিন্সিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ জামায়াত এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়িয়ায় নাশকতার মামলায় যুবলীগ নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার মঠবাড়িয়ায় ৩ সমন্বয়কের বিরুদ্ধে  নগদ টাকা সহ ১২ টি মোবাইল চুরি অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ফারিয়ার কমিটি গঠন- সভাপতি মাসুদ, সম্পাদক সজিব মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা পিরোজপুরে ১০৫ পিস ফিন্সিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ জামায়াত এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার নিজামিয়া ঘোপখালী এনছানিয়া দাখিল মদ্রাাসার সুপার মাওলানা গোলাম কবির এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টিউশন ফি ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪ টি টিউশন ফি বাবদ ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির এর নামে বরাদ্দ হয়। ওই টাকা কোটেশন অনুযায়ী সকল শিক্ষকদের পাওয়ার কথা থাকলেও কোন শিক্ষককে টাকা দেয়া হয়নি। শিক্ষকরা হিসাব চাইলে কালক্ষেপণ ও গড়িমাসি  করছেন ওই সুপার। মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী মাওঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, সহ-সুপার শাহ জালাল সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, গত ২০ অক্টোবর রবিবার তাদের নিয়ে হিসাবে বসলে ৪ টি টিউশন ফি বাবাদ ৮৭ হাজার টাকার হিসাব দাড় করানো হয়। যাহার ২৮ হাজার টাকার খরচ দেখালেও বাকী ৫৭ হাজার টাকা আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল শিক্ষক দের ফেরত দিবে বলে অঙ্গিরার করেন এবং সেখানে সকল শিক্ষককে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। এ সময় মাদ্রাসা  সুপার গোলাম কবির এর কাছে ক্যাশ বহি দেখতে চাইলে তিনি ক্যাশ খাতা দেখাতে রাজি হননি। তারা আরো জানান মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আঃ রব মাষ্টার ও সুপার গোলাম কবির এর প্রভাবের কারণে তারা মুুখ খুলতে পারছেন না, তাদের যোগসাজোশে এহেন কর্মকান্ড চলে আসছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। এ বিষয় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই টাকা মাদ্রাসা স্বার্থে খরচ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রব মাস্টার গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন টিউশন ফি মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি মাদ্রাসার নামে ব্যাংকে জমা হয়। সেখানে আমাদের কোন মাধ্যম থাকে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা যায়।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ূম বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা অন্যায়। সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার নিজামিয়া ঘোপখালী এনছানিয়া দাখিল মদ্রাাসার সুপার মাওলানা গোলাম কবির এর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টিউশন ফি ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪ টি টিউশন ফি বাবদ ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির এর নামে বরাদ্দ হয়। ওই টাকা কোটেশন অনুযায়ী সকল শিক্ষকদের পাওয়ার কথা থাকলেও কোন শিক্ষককে টাকা দেয়া হয়নি। শিক্ষকরা হিসাব চাইলে কালক্ষেপণ ও গড়িমাসি  করছেন ওই সুপার। মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী মাওঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, সহ-সুপার শাহ জালাল সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, গত ২০ অক্টোবর রবিবার তাদের নিয়ে হিসাবে বসলে ৪ টি টিউশন ফি বাবাদ ৮৭ হাজার টাকার হিসাব দাড় করানো হয়। যাহার ২৮ হাজার টাকার খরচ দেখালেও বাকী ৫৭ হাজার টাকা আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল শিক্ষক দের ফেরত দিবে বলে অঙ্গিরার করেন এবং সেখানে সকল শিক্ষককে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন। এ সময় মাদ্রাসা  সুপার গোলাম কবির এর কাছে ক্যাশ বহি দেখতে চাইলে তিনি ক্যাশ খাতা দেখাতে রাজি হননি। তারা আরো জানান মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আঃ রব মাষ্টার ও সুপার গোলাম কবির এর প্রভাবের কারণে তারা মুুখ খুলতে পারছেন না, তাদের যোগসাজোশে এহেন কর্মকান্ড চলে আসছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। এ বিষয় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা গোলাম কবির বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে। এছাড়াও ওই টাকা মাদ্রাসা স্বার্থে খরচ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রব মাস্টার গণমাধ্যম কর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন টিউশন ফি মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি মাদ্রাসার নামে ব্যাংকে জমা হয়। সেখানে আমাদের কোন মাধ্যম থাকে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা যায়।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ূম বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা অন্যায়। সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।